যে পাঁচ খাবারে পাবেন ভিটামিন 'কে' ?

যে পাঁচ খাবারে পাবেন ভিটামিন 'কে' ? 




ভিটামিন 'কে'-এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। রক্তক্ষরণ হলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে ভিটামিন 'কে'। এছাড়া হাড়ের গঠনে সাহায্য করে, দেহের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কে গ্লাইকোজেন হিসাবে লিভারে জমা রাখে এবং ক্যানসারের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে থাকে এই দরকারি ভিটামিন কে
যে পাঁচ খাবারে পাবেন ভিটামিন কে?
যে পাঁচ খাবারে পাবেন ভিটামিন কে? 



যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন কে এসেনশিয়াল ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। এটি হারও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে অনেকাংশে কাজ করে। এছাড়া এর আরো অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমাদের শরীরে। বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় অনেক সহজলভ্য সবজির মধ্যে সহজে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর তথ্য অনুযায়ী, নারীদের ক্ষেত্রে দৈহিক ১২২ মাইক্রো গ্রাম ও পুরুষের ক্ষেত্রে দৈহিক ১৩৮ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন 'কে' প্রয়োজন পড়ে। শরীরের জন্য যে পরিমাণ ভিটামিন 'কে' ,প্রয়োজন তা বাজারে পাওয়া এমন সহজলভ্য সবজির থেকেই সহজে পাওয়া সম্ভব। ভিটামিন কে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি সহজ উৎস সম্পর্কে আমরা আজকে জানবো এই পোস্টে:



শালগম
শালগম

শালগম:

শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত সবজিগুলোর মধ্যে শালগম অন্যতম। এটি এক প্রকার রূপান্তরিত মূল এবং মাটির নিচের অংশ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আধা কাপ সেদ্ধ শালগম এ ৪২৬ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন 'কে' পাওয়া যায়। এতে রয়েছে অনেক লোক প্রতিরোধকারী গুণাবলী। এটি প্রদাহ নাশ করে। এটি ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। সেই সাথে একটি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। শালগম রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি বাজে কোলেস্টরেল শরীর থেকে দূর করে। শালগম দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী উপাদান লিউটিন এই শালগমে পাওয়া যায়। শালগম একটি আঁশ জাতীয় খাবার ও বটে, তাই প্রচুর পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায় যেটি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। শালগম রক্ত পরিশোধিত করে এবং রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্ষুধামন্দা দূর করতেও শালগম বেশ উপকারী।



ব্রোকলি
ব্রোকলি

ব্রোকলি:

আধা কাপ সেদ্ধ ব্রোকলি থেকে ১১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পেতে পারেন। পুষ্টিবিদেরা ব্রোকলি কে একটি অন্যতম পুষ্টিকর সবজি বলে দাবি করেন। এতে অন্যতম কিছু উপকারী উপাদান আছে, যা দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে। এতে ভিটামিন 'কে' এর সাথে সাথে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' ও। আমেরিকার ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর তালিকায় ক্যান্সার প্রতিরোধে দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এই ব্রোকলি। পুষ্টিবিদদের মতামত অনুযায়ী, ব্রোকলিতে আয়রনের পরিমাণ থাকে অনেক। এটি ভিটামিন 'এ' এর একটি ভালো উৎস বটে। এছাড়া এটি ত্বকের জন্য অনেক ভালো। ব্রোকলি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে তে। এই সাথে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ব্রোকলি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে অনেক।



গাজরের রস
গাজরের রস

গাজরের রস:

৬ আউন্স গাজরের রসে 28 মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন 'কে' থাকে। গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন সকালে এক কাপ গাজরের রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। গাজরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও আছে এর আরো অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস ও বিভিন্ন প্রকারের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে গাজর। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে, যা হাড় গঠন নার্ভাস সিস্টেমকে শক্ত করা এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


বেদানার রস
বেদানার রস


বেদানার রস:

প্রতি  আউন্সে ১৯ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়। বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও আয়রন। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় রক্তে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রতিদিন ১ মগ বেদানার রস খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থগুলো। তাই বিশেষ করে যাদের রক্ত শুন্যতা আছে তাদের জন্য খুবই ভালো। ছাড়াও এতে প্রতি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন এ, সি, ই প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান।



পালংশাক
পালংশাক

পালংশাক:

কচি পালংশাক রান্না করে খেলে তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বেশ কয়েক গুণ। এটি ভিটামিন কে এর অনেক ভালো একটি উৎস। কালো খোসা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। পালংশাকে প্রচুর ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন থাকায় তা কোলনের কোষগুলোকে রক্ষা করে। পালংশাক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর। পালং শাক একটি শীতকালীন শাক। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।




ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সবাই।

Comments

Popular posts from this blog

ঘনবস্তুর সংজ্ঞা || ঘনবস্তু কাকে বলে? || ঘনবস্তু কত প্রকার ও কি কি? || ঘনবস্তুর মাত্রা কয়টি ও কি কি

রাশি কাকে বলে? || রাশি কতো প্রকার ও কি কি?

পিচ কী? || পিচ (Pitch) কাকে বলে? || লঘিষ্ঠ গণন (Least count) কাকে বলে?