[৬ টি] হৃদযন্ত্র ভালো রাখার সহজ উপায় || হার্ট ভালো রাখার ব্যায়াম || হার্ট ভালো রাখে কোন খাবার
হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে যে অভ্যাসগুলো থাকা দরকার।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন জীবনটাকে বদলে দিতে পারে অনেকাংশে। সুস্থ রাখতে পারে আমাদের হৃদযন্ত্র কে। আমাদের কিছু বেখেয়ালি অভ্যস্ততায় এবং অবহেলার কারণে শরীরের এর গুরুত্বপূর্ণ অংশটি যত্ন নেয়ার অভাবে ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
হৃদযন্ত্র ও কে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন ও দৈনন্দিন খাবার সম্পর্কে হালকা কিছু সচেতনতা। এজন্য আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের কিছু অভ্যাস অদল বদল করতে হবে। কিছু পুরাতন অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে আর কিছু নতুন অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবে আমাদের হৃদযন্ত্র তা ঠিকভাবে দম ফেলতে পারবে। তাই দেরি না করে আজকে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা নিতে পারেন। কিছু ভালো খাবার গ্রহণ নিয়মিত ব্যায়াম এসব অভ্যাস নিজের পাশাপাশি সন্তান ও পরিবারের মধ্যে গড়ে তুলতে চেষ্টা করুন।
ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হলে খাদ্য তালিকা যে সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে সেগুলো দেখে নেয়া যাক:
১. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় বা জুস পান পরিহার করাই ভালো। বিকল্প হতে পারে বিশুদ্ধ পানি ও চিনিমুক্ত জুস।
২. মিষ্টি যুক্ত খাবারের পরিবর্তে তাজা ফল খাওয়া যেতে পারে।
৩. প্রতিদিন দিনের ৫ টি ভাগের খাদ্যতালিকায় ফল ও সবজি রাখুন। আর খাওয়ার জন্য এসব সবজি ও ফলমূল তাজা শুকনো বা হিমায়িত ও হতে পারে।
৪. নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না।
৫. বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলোতে খুব বেশি পরিমাণে লবন থাকে এবং এটা চর্বির পরিমাণ ও থাকে অনেক বেশি, তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলাই মঙ্গল।
৬. প্রতিদিনের স্কুলের টিফিন বা কর্মক্ষেত্রে নিজের টিফিন খাওয়ার জন্য নেওয়ার জন্য নিজের স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার নিজেই তৈরি করে নেওয়া অনেক বেশি ভালো।
আরো দেখুন...
যে পাঁচ খাবারে পাবেন ভিটামিন 'কে' ?
ব্যায়ামের যে অভ্যাস সতেজ এবং তাজা রাখে আপনার হৃদপিণ্ডকে:
১. প্রতি সপ্তাহের কমপক্ষে পাঁচ দিন এবং প্রতি দিনে কমপক্ষে 30 মিনিট সময় নিয়ে হালকা এবং মাঝারি ধরনের ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা শরীরের জন্য অনেক ভালো। সপ্তাহে 75 মিনিট জোরালো ধরনের কিছু কাজ ভালো রাখবে আপনার হৃদযন্ত্র কে।
২. ঘরের কাজ নাচ কাজ করা খেলা সবে কাজ হিসাবে গণ্য হবে।
৩. অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তুলুন নিজেকে। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গাড়ি ছেড়ে সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে অনেকটাই উপকারে দেবে আপনার শরীরের জন্য।
৪. পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে একসঙ্গে শরীরচর্চার অভ্যাস টা সময়টাকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে পারে।
৫. সেই সাথে ইন্টারনেটে বা গুগল প্লে স্টোরে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চার অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায় যেগুলো ডাউনলোড করে সেগুলো মোতাবেক আপনি রেগুলার শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন।
ধূমপান পরিহার করুন যত তাড়াতাড়ি পারেন:
অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন বলা হয়ে থাকে ধূমপান হলো বিষপান। কেননা এই অভ্যাসটি হিরো যন্ত্রসহ শরীরের অনেক ধরনের অসুখের জন্য মূল দায়ী। হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে সবচেয়ে উপযোগী হলো ধূমপান পরিহার করা। প্রায় দুই বছর বা তার অধিক ধূমপান থেকে বিরত থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। ধূমপান থেকে বিরত আছেন বা ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগের হার অনেক কম। অনেক সময় প্রত্যক্ষভাবে ধূমপান এর সঙ্গে জড়িত না থেকেও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ও হৃদরোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন অনেকে। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকলে বাদ ধূমপান পরিহার করলে কেবল নিজের নয় নিজের সাথে সাথে আশেপাশের মানুষগুলো কেউ হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তীব্র মনবল ও মানসিক ইচ্ছা এবং জীবন যাপনের হালকা কিছু পরিবর্তন আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বহু দিনের এই অভ্যাস বাদ দেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
আরো দেখুন...
ওজন কমাতে সকালের নাশতা
ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সবাই।
 |
| হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে যে অভ্যাসগুলো থাকা দরকার। |
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন জীবনটাকে বদলে দিতে পারে অনেকাংশে। সুস্থ রাখতে পারে আমাদের হৃদযন্ত্র কে। আমাদের কিছু বেখেয়ালি অভ্যস্ততায় এবং অবহেলার কারণে শরীরের এর গুরুত্বপূর্ণ অংশটি যত্ন নেয়ার অভাবে ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
হৃদযন্ত্র ও কে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন ও দৈনন্দিন খাবার সম্পর্কে হালকা কিছু সচেতনতা। এজন্য আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের কিছু অভ্যাস অদল বদল করতে হবে। কিছু পুরাতন অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে আর কিছু নতুন অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তবে আমাদের হৃদযন্ত্র তা ঠিকভাবে দম ফেলতে পারবে। তাই দেরি না করে আজকে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার প্রতিজ্ঞা নিতে পারেন। কিছু ভালো খাবার গ্রহণ নিয়মিত ব্যায়াম এসব অভ্যাস নিজের পাশাপাশি সন্তান ও পরিবারের মধ্যে গড়ে তুলতে চেষ্টা করুন।
ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হলে খাদ্য তালিকা যে সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে সেগুলো দেখে নেয়া যাক:
১. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় বা জুস পান পরিহার করাই ভালো। বিকল্প হতে পারে বিশুদ্ধ পানি ও চিনিমুক্ত জুস।
২. মিষ্টি যুক্ত খাবারের পরিবর্তে তাজা ফল খাওয়া যেতে পারে।
৩. প্রতিদিন দিনের ৫ টি ভাগের খাদ্যতালিকায় ফল ও সবজি রাখুন। আর খাওয়ার জন্য এসব সবজি ও ফলমূল তাজা শুকনো বা হিমায়িত ও হতে পারে।
৪. নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না।
৫. বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত খাবার গুলোতে খুব বেশি পরিমাণে লবন থাকে এবং এটা চর্বির পরিমাণ ও থাকে অনেক বেশি, তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলাই মঙ্গল।
৬. প্রতিদিনের স্কুলের টিফিন বা কর্মক্ষেত্রে নিজের টিফিন খাওয়ার জন্য নেওয়ার জন্য নিজের স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার নিজেই তৈরি করে নেওয়া অনেক বেশি ভালো।
আরো দেখুন...
যে পাঁচ খাবারে পাবেন ভিটামিন 'কে' ?
ব্যায়ামের যে অভ্যাস সতেজ এবং তাজা রাখে আপনার হৃদপিণ্ডকে:
১. প্রতি সপ্তাহের কমপক্ষে পাঁচ দিন এবং প্রতি দিনে কমপক্ষে 30 মিনিট সময় নিয়ে হালকা এবং মাঝারি ধরনের ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা শরীরের জন্য অনেক ভালো। সপ্তাহে 75 মিনিট জোরালো ধরনের কিছু কাজ ভালো রাখবে আপনার হৃদযন্ত্র কে।
২. ঘরের কাজ নাচ কাজ করা খেলা সবে কাজ হিসাবে গণ্য হবে।
৩. অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তুলুন নিজেকে। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। গাড়ি ছেড়ে সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুললে অনেকটাই উপকারে দেবে আপনার শরীরের জন্য।
৪. পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে একসঙ্গে শরীরচর্চার অভ্যাস টা সময়টাকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে পারে।
৫. সেই সাথে ইন্টারনেটে বা গুগল প্লে স্টোরে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চার অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায় যেগুলো ডাউনলোড করে সেগুলো মোতাবেক আপনি রেগুলার শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন।
 |
| হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে যে অভ্যাসগুলো থাকা দরকার। |
ধূমপান পরিহার করুন যত তাড়াতাড়ি পারেন:
অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন বলা হয়ে থাকে ধূমপান হলো বিষপান। কেননা এই অভ্যাসটি হিরো যন্ত্রসহ শরীরের অনেক ধরনের অসুখের জন্য মূল দায়ী। হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে সবচেয়ে উপযোগী হলো ধূমপান পরিহার করা। প্রায় দুই বছর বা তার অধিক ধূমপান থেকে বিরত থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। ধূমপান থেকে বিরত আছেন বা ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগের হার অনেক কম। অনেক সময় প্রত্যক্ষভাবে ধূমপান এর সঙ্গে জড়িত না থেকেও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ও হৃদরোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন অনেকে। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকলে বাদ ধূমপান পরিহার করলে কেবল নিজের নয় নিজের সাথে সাথে আশেপাশের মানুষগুলো কেউ হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তীব্র মনবল ও মানসিক ইচ্ছা এবং জীবন যাপনের হালকা কিছু পরিবর্তন আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় বহু দিনের এই অভ্যাস বাদ দেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
আরো দেখুন...
ওজন কমাতে সকালের নাশতা
ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সবাই।
Comments
Post a Comment